ঝর্ণা-ফোয়ারায় সৌন্দর্য বাড়ছে চবি’র
পরিসর-গ্রুপ ৩
পরিসর.কম
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৩:৪০ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প-৩ এর নকশা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নির্মিত হচ্ছে তিনটি স্থাপনা যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন-ভিশন প্রদর্শিত হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আসন্ন ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনটি প্রকল্পের মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনের লেকে প্রথম প্রকল্পে একটি ফোয়ারা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মধ্যবর্তী সুনামি গার্ডেনের সম্মুখভাগে ঝর্ণাসহ একটি স্থাপনা নির্মিত হবে। বইয়ের আকৃতিতে স্থাপনাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন-ভিশন প্রদর্শিত হবে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় তৃতীয় আরেকটি প্রকল্পেও ঝর্ণাসহ বই আকৃতির একটি স্থাপনা নির্মিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখের ‘অভিবাদন ফলক’কে ঘিরে এটি তৈরি হবে। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যায়তনিক উৎকর্ষতা প্রদর্শিত হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এজন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে, প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে গোটা ক্যাম্পাসে এখন নান্দনিকতার ছোঁয়ায় ভরপুর। এই নান্দনিকতাকে আরো পূর্ণ করার লক্ষ্যে তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি প্রকল্পগুলো ভর্তি পরীক্ষার আগেই শেষ করা হবে এবং ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প-১ এর উদ্বোধন করছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রমকে গতিশীল করা এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরির লক্ষ্যে একটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলমকে আহ্বায়ক এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন নীপুকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যবৃন্দ হলেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক শায়লা শারমিন, সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র, বিশিষ্ট স্থপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য আহমদ জিন্নুর চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।
বিশ^বিদ্যালয়ের এমন সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাওমী বলেন, “আমাদের বিশ^বিদ্যালয়ের মনোরম প্রকৃতি অনন্য দর্শনীয় স্থান। বিকেলে দূর-দূরান্তের এখানে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। এই তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প দর্শনার্থীদের আকর্ষণে নতুন মাত্রা হবে বলে ধারণা করছি।”
প্রায় প্রতি বিকেলেই প্রচুর দর্শনার্থীদের ভিড় হয় বিশ^বিদ্যালয়ে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সুনামি গার্ডেন, লাইব্রেরি চত্বর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বনবিদ্যা, টেলি হিল, প্যাগোডা, বিশ্ববিদ্যালয় ঝর্ণা, জীববিজ্ঞানের পুকুর পাড়সহ নানা স্থানে সৌন্দর্যপিপাসুদের ভিড় বিকেল থেকে লেগেই থাকে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও গান-বাজনার সরঞ্জাম নিয়ে আসর বসায় নানা স্থানে। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি চলতে থাকে গান-বাজনা। দর্শনার্থীরা হয়ে উঠে ‘লাইভ দর্শক’।
এমন সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। সঙ্গীত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনা আতিক জেরিন বলেন, এমন উদ্যোগ বেশ প্রসংশনীয়। আমরা জেনেছি, ওই সকল স্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশন-ভিশন প্রদর্শিত থাকবে যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।
অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত সজীব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখানেই এডমিশন নিই। প্রকৃতিপ্রেমি হিসেবে ক্যাম্পাস আমার পছন্দের। এখানে বেশ কিছু স্থানে উন্নয়নমূলক কাজের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করি। জলের ফোয়ারা স্থাপনে প্রশাসনের গৃহীত উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।”
প্রকল্পের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত মাসেই এসব প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যার মধ্যে প্রথমটি গত সপ্তাহে উদ্বোধন করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার আগেই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
পরিসর/গ্রুপ-৩/গ্রুপ-৬
[গ্রুপ-৩: সালাউদ্দিন আহমেদ, আদনান সাকিব চৌধুরী, ফাতিমা আতিক তাজিন, শাহাদাত হোসেন, জাহিদ হাসান সবুজ, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল]
- চবির আইসিটি সেল : প্রযুক্তির ছোঁয়ায় লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমছে
- সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি
- Nazrul’s 120th birth anniversary celebrated at CU
- Video Game Violence
- চবিতে বসেছে আলোর মেলা!!!
- ২০১৮ সালে ১৯৬৪২ টি অগ্নিকান্ডে ক্ষতি ৩৮৬ কোটি টাকা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কফি হাউজ
- অর্থায়নে পিএইচপি ফ্যামিলি
চবি সাংবাদিকতায় নতুন স্টুডিও - চবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিদায়ী সংবর্ধনা রোববার
- 85.7% students satisfied with CAJCU
- ডয়েচে ভেলের উদ্যোগে ‘মোবাইল জার্নালিজম’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ
- চবিতে ডিজিটাল সাংবাদিকতা বিষয়ক নেটওয়ার্কিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- গণমাধ্যম বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ইতিহাস গড়লো চবি - ৫২ বছরে মাত্র চার সমাবর্তন চবি-তে!
- ঝর্ণা-ফোয়ারায় সৌন্দর্য বাড়ছে চবি’র
- চবি শিক্ষার্থীদের দুঃখ রাতের শাটল ট্রেন
- চবি’র জীববৈচিত্র্যে ৩ দশকে বেড়েছে ৩৪৯ প্রজাতি
- CUCSU becomes functional again, desire all
- প্রথমবারের মতো নিজস্ব অটোমেশন
চবিতে ভর্তি পরীক্ষা ২৭-৩১ অক্টোবর - গণতন্ত্র ও জাতীয় উন্নয়নে মুক্ত সাংবাদিকতা অপরিহার্য
- কাজ করো, ফল তোমাদের পিছনে দৌঁড়াবে: উপাচার্য
- চবির সম্মৃদ্ধ লাইব্রেরি, তবুও বিমুখ শিক্ষার্থীরা!
- নতুন পরিসর-এ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
- হার না মানা শিলা