৫২ বছরে মাত্র চার সমাবর্তন চবি-তে!
পরিসর-গ্রুপ ৪
পরিসর.কম
প্রকাশিত : ০৪:০৮ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার | আপডেট: ০৪:১২ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী
কালো গাউন গায়ে জড়িয়ে ও কালো টুপি মাথায় চেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্জিত ডিগ্রির সনদ হাতে নেওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর।
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর। ৫২ বছরে পা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারবার। অনিয়মিত এ সমাবর্তনের ফলে সনদ পাওয়ার আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেওয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের।
রেজিস্ট্রার ভবনের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পর ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম সমাবর্তন হয় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে। পরে ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় এবং ২০০৮ সালে তৃতীয় সমাবর্তন হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। এ সমাবর্তনে ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পিএইচডি/ এম ফিল/ এম ডি, এমএস, এমফিল, এমপিএইচ (চিকিৎসা বিজ্ঞান)/ এমএ (ইআইটি)/ এমবিবিএস/ বিডিএস/ বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজিও, ডিঅর্থ, ডিএলও, ডিসিও, ডিসিএইচ, ডিএ, ডিকার্ড, ডিডিডি (চিকিৎসা বিজ্ঞান) বিএসসি ইন নার্সিং পোস্ট বেসিক/ পাবলিক হেলথ নার্সিং/ সাধারণ ডিগ্রি অর্জনকারীদের ৭ হাজার ১৯৪ জন গ্র্যাজুয়েট। এছাড়া নয়জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে চ্যান্সেলর পদক এবং ২৫জন পিএইচডি ও ১৩ জন গবেষককে দেয়া হয় এমফিল ডিগ্রি।
দীর্ঘ আট বছর ধরে যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন, পার হয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি তারা কেউ এখনো যোগ দিতে পারেননি তাদের কাঙ্খিত সমাবর্তনে।
মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মুশফিকুর রহমান পরিসর.কমকে বলেন, ২০১১ সালে স্নাতোকত্তর সম্পন্ন হলেও এখনো আমি সমাবর্তনে অংশ নিতে পারিনি। যা খুবই হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সময় স্বপ্ন ছিলো কালো গাউন ও কালো টুপি গায়ে জড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবো, যা এখনো সম্ভব হয়নি। আমরা চাই নিয়মিত সমাবর্তন হোক বিশ^বিদ্যালয়ে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শুভ্রদীপ বড়ুয়া বলেন, ২০১২ সালে আমার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছি। ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আমি সমাবর্তনে অংশ নিতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত সমাবর্তনের মাধ্যমে গ্রাজুয়েটদের বিদায় দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রায়হানা রুমি বলেন, টেলিভিশনে যখন দেখতাম বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কালো টুপি ও গাউন পরে সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন তখন নিজেকেও সেই অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। তবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করলেও কবে কাঙ্খিত সেই সমাবর্তনের দেখা পাবো তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুদৃষ্টি থাকলে আমার মতো অনেকেরই সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হবে।
এ বিষয়ে পরিসর.কম এর কথা হয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সকল দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রতিবছর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে তেমনটা হয়ে উঠে না। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ভৌগলিক অবস্থানের কারণেও এটি কঠিন হয়ে পড়ে। তবুও আমি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরে ২০১৬ সালে চতুর্থ সমাবর্তনের আয়োজন করি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে একটি সমাবর্তন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আশা করি ধীরে ধীরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে সমাবর্তনের আয়োজন করতে পারবো।’
চবির এ অনিয়মিত সমাবর্তনের জন্য চবির ভৌগলিক অবস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সদিচ্ছাকে দোষারোপ করছেন এখানকার শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পাহাড়বেষ্টিত। সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের আগমন নিয়ে জটিলতার কারণে নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সদিচ্ছায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সমাবর্তনের আয়োজন হতে পারে বলে আমি মনে করি।
পরিসর/গ্রুপ-৪/গ্রুপ-১
গ্রুপ-৪: মো. শরীফ, সৌভাগ্য বড়ুয়া, সালাউদ্দিন চৌধুরী, আফসানা আজাদ তানি, রায়হানা রুমি, সৈয়দ বাইজিদ ইমন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম
- চবির আইসিটি সেল : প্রযুক্তির ছোঁয়ায় লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমছে
- সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি
- Nazrul’s 120th birth anniversary celebrated at CU
- Video Game Violence
- চবিতে বসেছে আলোর মেলা!!!
- ২০১৮ সালে ১৯৬৪২ টি অগ্নিকান্ডে ক্ষতি ৩৮৬ কোটি টাকা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কফি হাউজ
- অর্থায়নে পিএইচপি ফ্যামিলি
চবি সাংবাদিকতায় নতুন স্টুডিও - চবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিদায়ী সংবর্ধনা রোববার
- 85.7% students satisfied with CAJCU
- ডয়েচে ভেলের উদ্যোগে ‘মোবাইল জার্নালিজম’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ
- চবিতে ডিজিটাল সাংবাদিকতা বিষয়ক নেটওয়ার্কিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- গণমাধ্যম বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ইতিহাস গড়লো চবি - ৫২ বছরে মাত্র চার সমাবর্তন চবি-তে!
- ঝর্ণা-ফোয়ারায় সৌন্দর্য বাড়ছে চবি’র
- চবি শিক্ষার্থীদের দুঃখ রাতের শাটল ট্রেন
- চবি’র জীববৈচিত্র্যে ৩ দশকে বেড়েছে ৩৪৯ প্রজাতি
- CUCSU becomes functional again, desire all
- প্রথমবারের মতো নিজস্ব অটোমেশন
চবিতে ভর্তি পরীক্ষা ২৭-৩১ অক্টোবর - গণতন্ত্র ও জাতীয় উন্নয়নে মুক্ত সাংবাদিকতা অপরিহার্য
- কাজ করো, ফল তোমাদের পিছনে দৌঁড়াবে: উপাচার্য
- চবির সম্মৃদ্ধ লাইব্রেরি, তবুও বিমুখ শিক্ষার্থীরা!
- নতুন পরিসর-এ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
- হার না মানা শিলা